বর্তমান সময়ে ভারত এক গভীর সঙ্কটময় মুহূর্তের সম্মুখীন। সেহেতু তিনি শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব ভুলে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃসময়ে সৎ পরামর্শ বা দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতার বিনিময়ে এমন মূল্য হয়তো আশা করেননি কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। মারণ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারা দেশের যখন তটস্থ অবস্থা, তখন তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকেন কী করে!
আবার এটাও ঠিক, ক্ষমতায় না থাকায় তাঁর পক্ষে এই পরিস্থিতিতে দেশ ও দশের জন্য বাস্তবিক কিছু করাও সহজ নয়। তাই করোনা মোকাবিলায় এখন ঠিক কী করা উচিত তার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মনমোহন সিং। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য সেই চিঠির জবাব দেওয়ার ভদ্রতা দেখাননি। দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। আর সেই সপাট জবাব মনমোহন সিংয়ের কাছে হয়তো অপমানের থেকে কম কিছু হবে না।
ড. হর্ষবর্ধন এদিন মনমোহন সিংয়ের চিঠির জবাবে লিখেছেন, ”কংগ্রেসের নেতারা আপনার এই পরামর্শগুলি মেনে চললেই ইতিহাস আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।” দুপাতার চিঠিতে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে করোনা মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে হলে ভ্যাকসিনের জোগান আগে নিশ্চিত করতে হবে। আপাতত তাই দেশের ১০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এর উত্তরে হর্ষবর্ধন লিখেছেন, ”গত কয়েক মাসে কংগ্রেস নেতারা ইচ্ছে করে ভুল তথ্য রটানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ভ্যাকসিন নিয়ে একের পর এক ভুল তথ্য তাঁরা ছড়িয়েছে। সেইসব ভুল তথ্যের জেরে বহু মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে দ্বন্দ্বে ভুগেছে।”