ব্যক্তি নয়, দল আগে। রাজ্যের মানুষের স্বার্থ আগে। বহু বছর ধরেই এই কথা সর্বসমক্ষে বলে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দলবিরোধী কোনও কাজ করলে যে কাউকেই রেয়াত করা হবে না, তা-ও আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার যেমন ভোট আবহেই দলবিরোধী কাজের জন্য একযোগে এক ডজন নেতাকে শো-কজ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান জানান, রাফিকা সুলতানা, মইদুল ইসলাম, বৈদ্যনাথ দাস-সহ মোট বারো জন নেতৃত্বকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাফিকা সুলতানা কিছুদিন আগে দলের অন্য নেতা মইদুল ইসলামের ওপর অভিযোগ আনেন তিনি তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হওয়ায় প্রতিহংসাবশত রাফিকার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দেন।
এরপরেই রফিকা দলের কাছে অভিযোগ জানান এবং তিনি তৃণমূলের তরফে নির্দল হিসেবে প্রার্থী মনোনীত হন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত নেতা মইদুলও দলের হয়ে কাজ না করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে যোগ দেন। এর জেরে রীতিমতো প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।
পাশাপাশি, জেলা তৃণমূলের সহকারি সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু, তারপরেই আবার মত পরিবর্তন করে ‘ঘরওয়াপসি’ চেয়ে চিঠিও লেখেন। এর জেরেই মূলত শো-কজ করা হয় বৈদ্যনাথকে। এই তিনজন ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন পাঁচ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দুই পুরপ্রশাসক ও দুই জেলা নেতৃত্ব। দল বিরোধী কাজের জন্য এঁদের সকলকেই এ দিন শো-কজ করে তৃণমূল।