শুভেন্দু অধিকারী কখনও তাঁর বিশ্বস্ত ছিলেন না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘’ও (শুভেন্দু) কখনও আমার বিশ্বস্ত ছিল না। নন্দীগ্রামে মিটিং করতে গিয়েছি, স্টেজ থেকে নেমে গিয়েছে।’
পঞ্চম দফার ভোটের আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি একথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালের নভেম্বরে নন্দীগ্রামে ‘অপারেশন সূর্যোদয়’ তথা সিপিএমের এলাকা পুনর্দখল অভিযানের সাফল্যের পিছনেও শুভেন্দু ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর দিকে এ দিন অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মমতা, অবশ্য পিতা-পুত্র কারও নাম না-করে। তাঁর কথায়, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন্দীগ্রামে বাপ-ব্যাটাকে কনফিডেন্সে নিয়ে সূর্যোদয় করেছিলেন। পরে আমি বিশদে সব জানতে পেরেছি। দরকার হলে লক্ষ্মণ শেঠকে জিজ্ঞেস করুন। দলে ছিল। তাই সহ্য করেছি।’
এ দিনের টেলিভিশন-সাক্ষাৎকারে মমতা এটাও জানিয়েছেন, এ বার, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন তিনি সেখানকার বয়ালে একটি প্রাথমিক স্কুলের বুথ আগলে টানা দু’-আড়াই ঘণ্টা পড়েছিলেন রিগিং রুখতেই। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও প্রকারান্তরে তিনি দায়ী করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে।
এ দিন মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ১০ টি বুথে রিগ করেছে (বিজেপি)। আমি তিন ঘণ্টা বয়ালে বসে না-থাকলে ৭০টি বুথে ওরা রিগ করার পরিকল্পনা করেছিল। এমনি এমনি আমি ওখানে বসেছিলাম না। ওখানে আমাদের এজেন্টকে বসতে দেয়নি। মেরে মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল। পরিচয়পত্র দেখছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন পরিচয়পত্র দেখবে?’