দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জেরে একসঙ্গে হতে পারে রাজ্যের শেষ তিন দফার ভোট। নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠক ঘিরে এমনই জল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও চাইছে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে মিটিয়ে ফেলতে। যে হারে রাজ্যে তথা গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে আরও চার দফায় নির্বাচন হলে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে পারে, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, করোনা বিধি মেনে শেষ চার দফার নির্বাচন কীভাবে করানো যায়, তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে শুক্রবার একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে কমিশন। ওই দিন দুপুর দুটোয় রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে ওই বৈঠক হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এক জন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি ওই সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও। শোনা যাচ্ছে, ওই বৈঠকেই শেষ তিন দফা ভোট একসঙ্গে করানোর ব্যাপারে একটা আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, এই ধরনের কোনও প্রস্তাব যদি আসে তাহলে তাতে সম্মতি দেবে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসকদল শুরু থেকেই আট দফার ভোটের বিরোধী ছিল। ভোট চলাকালীনও বারবার আট দফার ভোট নিয়ে কমিশন তথা শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির অবনতির পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ঝুঁকি নিয়ে আর আলাদা আলাদা করে চার দফা ভোট না করানোই মঙ্গল। কারণ, যতই করোনা বিধি মানার কথা বলা হোক না কেন, ভোটের প্রচারে বা সভা সমাবেশে জনসমাগম হবেই। সেটা রুখতেই এক দফায় ভোট করানোর পক্ষে তৃণমূল। যদিও শুধু তৃণমূল দাবি করলে ভোটপ্রক্রিয়ার মাঝে এভাবে দফা কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। সায় দিতে হবে অন্য দলগুলিকেও। কমিশন আগামী দফার ভোটগুলি কীভাবে করাতে চাইছে সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁরা ভোট মিশিয়ে দেওয়ার পক্ষে নাকি, আরও কঠোরভাবে করোনা বিধি লাগু করে তিন দফাতেই ভোট করানোর পক্ষে, সেটা স্পষ্ট হবে শুক্রবারের সর্বদল বৈঠকেই। সূত্রের খবর, শেষ ৩ দফার নির্বাচন আগামী ২৪শে এপ্রিল একসঙ্গেই হয়ে যেতে পারে।