‘গুড়-বাতাসা’, ‘চড়াম-চড়াম’, ‘পাচন’-এর মতো ‘দাওয়াই’ নিয়ে বিগত কয়েকটি ভোটে বাজার সরগরম রেখেছিলেন যিনি, এবার ভোটে তাঁর তেমন কোনও ‘সৃষ্টি’ এখনও সামনে আসেনি। কিন্তু দলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানটিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়ে ‘সুপার হিট’ করে দিয়েছেন তিনি। এবার মুখ খুলেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, স্রেফ ‘খেলার’ জোরেই প্রথম তিন দফার ভোটে আত্মবিশ্বাসী দল। খেলা ঠিকঠাক চালাতে পারলে বাকি দিনগুলোতেও সমস্যা নেই। কেমন সেই খেলা? তাঁর মতে, ‘ভয়ঙ্কর খেলা। এই খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে পেরে ওঠা মুশকিল। মোদ্দা বিষয়টা ট্রেনিং-এর। কোন বল-এ চার, কোন বল-এ ছয়, আবার কোন বল-এ দু’রান নিলেও আউট হব না, সেটা বুঝে গেলে কোনও সমস্যাই নেই।’
অনুব্রতর কথায়, ‘এবার শুধু জেলায় জেলায় গিয়ে খেলা শেখাচ্ছি। কোনও বার এত ঘুরতে হয়নি। আমার কাছে খেলার ট্রেনিং নিলে কারও সাধ্য নেই তৃণমূলকে হারায়।’ খেলতে খেলতে পাচন দেওয়ার কায়দাও দলীয় কর্মীদের তিনিই রপ্ত করাচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার। তিনি বলেন, ‘কার হাল্কা পাচনে কাজ হবে, কার জন্য কষে পাচন দরকার, সেগুলো শিখতে হবে তো! ডোজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ যদিও এই পাচন মানে পাচন বাড়ি কিনা তা স্পষ্ট করেননি অনুব্রত। নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, ‘অভিধান খুলে দেখুক ওরা, পাচনের কতগুলো অর্থ আছে! আমি কোন পাচনের কথা বলছি, ওরা প্রমাণ করতে পারবে?’