ভোটের আগে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন ওয়াইসির পার্টি অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসালিমীনের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জামিরুল হাসান। তাঁর দাবি, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জামিরুল জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে সমঝোতা করে বাংলায় আসলে বিজেপির ফায়দা করে দিতে চাইছেন হায়দ্রাবাদের সাংসদ। শুধু তাই নয়, এ রাজ্যে ওয়াইসির সফর ঘিরেও গুরুতর অভিযোগ আনলেন তিনি। জামিরুল হাসানের দাবি, বিজেপির থেকে টাকা নিয়েই এই রাজ্যে সফর করে গিয়েছেন ওয়াইসি।
উল্লেখ্য, গত ৩রা জানুয়ারি রাজ্যে এসেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। দেখা করেছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যে আসলেও নিজের দল মিমের কোনও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। যা নিয়ে অত্যন্ত মর্মাহত জামিরুল হাসান। পদত্যাগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, “যারা ক্লান্তিহীনভাবে দলের জন্য রাজ্যে অনবরত প্রচার করে গিয়েছেন তাদের প্রতি কোনওরকম সহানুভূতি ছিল না ওয়াইসির। বরং এমন একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন যাকে বাংলার বেশিরভাগ মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষ সহ্যই করতে পারেন না।” রাজ্যে যাতে মুসলমানদের ভোট ভাগ করে দেওয়া যায় সিদ্দিকির সঙ্গে সেই চুক্তিই করতে চেয়েছিলেন ওয়াইসি বলেও দাবি করলেন হাসান। সেই সুযোগ হারাবার পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মিম অংশগ্রহণ করবে না বলে দাবি করেছিল কিছু সংবাদমাধ্যম। যদিও তা হয়নি। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের ১৩টির মতো আসনে প্রার্থী দিয়েছে ওয়াইসির দল মিম।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৫ সাল থেকে মিমের সঙ্গে যুক্ত জামিরুল হাসান। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় ঘুরে ঘুরে দলের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করেছিলেন তিনি। জানান, ওয়াইসি মৌখিকভাবে তাঁকে বাংলার প্রধান নেতা বলেছিলেন, কিন্তু কোনওদিনই অফিসিয়াল বিবৃতি জারি হয়নি এ নিয়ে। বাংলার বিধানসভায় লড়ছে মিম, অথচ তৃণমূল স্তরে এখনও দল গঠনই করতে পারেনি তারা। এমনই দাবি করেছেন জামিরুল। তাঁর অভিযোগ, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই বাংলার নির্বাচনে লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ওয়াইসি।