বাকি চার রাজ্যে একজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। একমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা দুই। তাতে কোনওরকম আপত্তি না তুললেও বিবেক দুবেকে আবারও বাংলায় পাঠানোয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে উনি কী করেছেন।’
বিধানসভা ভোট চলাকালীন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮১ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার বিবেক দুবেকে পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। যিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। যে নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে বঙ্গে ১৮ টি আসন জিতেছিল বিজেপি। ৪৩ শতাংশ ভোট-সহ তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ২২ টি আসন। সেই সময় কয়েক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল।
তবে এবার শুধু দুবে নন, পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে মণিপুর-ত্রিপুরা ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার মৃণালকান্তি দাসকেও নিয়োগ করেছে কমিশন। যিনি ত্রিপুরার নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। দু’জনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এই সিদ্ধান্তে একেবারেই সন্তুষ্ট নন মমতা। মৃণালকান্তি দাসকে নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য না করলেও সরাসরি বিবেক দুবের নাম নিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘বিজেপির চোখ দিয়ে বাংলাকে না দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি আমি। একই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। ২০১৯ সালে বিবেক দুবে এখানকার (পুলিশ) পর্যবেক্ষক ছিলেন। আমরা সবাই জানি যে উনি কী করেছেন। আমরা সব খেলা এবং নাটক জানি। বিজেপির হাতে সব এজেন্সি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা আছে। একটি রাজ্যের নির্বাচনের কেন্দ্রীয় সরকারের নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে না। যদি সেটা করতে দেওয়া হয়, তাহলে তা বড়সড় ভুল হবে। তার ফল আপনাদের ভুগতে হবে।’