ডাবল ইঞ্জিন সরকার। অর্থাৎ, কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার। এমনটা হলে রাজ্যের আগ্রগতি আর থমকাবে না। বাংলায় এসে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকেই এই ডাবল ইঞ্জিন সরকার নিয়ে বাংলার ভোটের ময়দানে তরজা শুরু হয়েছে। এদিন সেই ডাবল ইঞ্জিন সরকার স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ব্রাত্য বসু এদিন বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় সামাজিক ও আর্থিক নবজাগরণ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ক্রমশ পিছিয়েছে। বাংলা কিন্তু এগিয়েছে। আমরা হিন্দিভাষী মানুষের পক্ষে। তবে এই ভয়ঙ্কর বিজেপি দলের বিরুদ্ধে। ২১-এ মমতার জয়ের মধ্যে দিয়ে ২৪-এ বিজেপির পতন সুনিশ্চিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু জেতালে হবে না। ২৪-এ বিজেপির উৎখাতের রাস্তাও সাধারণ মানুষকে তৈরি করতে হবে।’
এর পরই তথ্য তুলে ধরেন ব্রাত্য বসু। বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার প্রশ্ন তুলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -র সময় কী করেছে ওরা জানেই না। এখন বাংলায় করোনা থেকে সুস্থতা একশো শতাংশ। কোভিড রোগী একজনও নেই। শিশু মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে ৪৮ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৪৩। গুজরাতে ২৪। বাংলায় ২২ শতাংশ। রাজ্য ভিত্তিক মাতৃ-মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে ১৭৩ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো সংখ্যা। ১৯৭ শতাংশ। বাংলায় ৯৮ শতাংশ। গুজরাতে তো ডাবল ইঞ্জিন সরকার। কিন্তু সেই রেল চলে ধীর গতিতে। ডাবল ইঞ্জিন যাঁরা বলছেন তাঁদের এসব তথ্য দিতে চাই। সরকারি হাসপাতালে বেড- উত্তরপ্রদেশে ৭৬ হাজার। মধ্যপ্রদেশে ৩১ হাজার। কর্ণাটকে ৬৯০০০। গুজরাতে ২০,১২৭। বাংলায় ৮৫,৬২৭। টাটা ডাবল ইঞ্জিন, বাই বাই। কলকাতা সব থেকে নিরাপদ শহর। ২০১৯-এ উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের অপরাধের সংখ্যা সব থেকে বেশি। মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি। তবে এখন বাংলাতেও এই সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আসলে এখন বাইরে থেকে লোক আসছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। আমাদের পুলিস নজর রাখছে।’
এর পরই দলিতদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ তোলেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘তফশিলি, মতুয়া নিম্নবর্গের মানুষের প্রতি অপরাধ বাংলায় ০.৩। রোহিত ভেমুলার হত্যাকারীরা, দলিতদের খুনিরা বনগাঁয় গিয়ে বলছে, আমরা আপনাদের নাগরিকত্ব দেব। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর এসব ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এখানে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মতুয়া বাড়ির ছেলেদের আলাদা থালা-বাসন দেবে। আর উচ্চবর্ণের জন্য আলাদা বাসন। ডাবল ইঞ্জিন করে এসব করবে বিজেপি। গণপ্রহার আইন পাস করেছে আমাদের রাজ্য। আর ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে দলিতদের পিটিয়ে মারা বৈধ।’