চলতি বছরে রাজ্যে অতি ফলন হয়েছে আলুর। যেই কারণে আলু চাষিরা আলু বিক্রির সময়ে সঠিক দাম পেতে অসুবিধায় পড়তে পারে। তাই চাষিদের যাতে আর্থিক ক্ষতি না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার অগ্রিম আলু সংরক্ষণের স্কিম নিল। যা গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই স্কিম অনুযায়ী, কেজি প্রতি ৬ টাকা দরে আলু কেনার জন্য হিমঘরগুলোকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। আলুচাষিরা যাতে ভবিষ্যতে অসুবিধার মধ্যে না পড়েন তাই রাজ্য সরকার হিমঘরগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মাঠে যাতে আলু পচে না যায়, তার জন্য হিমঘরে সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দশ লক্ষ মেট্রিক টন আলু ৬ টাকা কেজি দরে কিনে নেওয়া যাবে। পরে তা বাজারে ছাড়া হবে।
পরবর্তীকালে হিমঘরগুলো যদি কোনও সমস্যায় পড়ে, তখন রাজ্য সরকার সেটা দেখবে। রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হবে। শুধু জ্যোতি আলুর জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমঘরগুলো যদি এই কারণে কোনও ব্যাঙ্কঋণের জন্য চেষ্টা করে তখনও সরকার তাদের সাহায্য করবে বলে বৈঠকে জানান আলাপনবাবু। রাজ্যের আলুচাষিদের আশ্বস্ত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা সরকার।
এছাড়াও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকার আরও বেশি পরিমাণ কৃষিজমিকে সেচ ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য দীর্ঘদিনের পুরনো ও জীর্ণ বাঁধগুলিকে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় এই বাঁধ মেরামতির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্পের ৭০ শতাংশ টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে কংসাবতী, শিলাবতী, মেসেঞ্জার, তিলপাড়া, মশানজোড়ের মতো বাঁধগুলিকে সংস্কার করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম সহ কয়েকটি জেলার ৪.৭ লক্ষ একর জমি এবং ৩৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।