এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বেসরকারিকরণ চাইছে মোদী সরকার। সরকারি হাসপাতালও যদি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটে তহালে গরিব মানুষের চিকিৎসা হবে কোথায়? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বিমা, কয়লা, বিমান-সহ একাধিক ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণের পর এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ চাইছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি পিপিপি মডেল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিয়ে এলে দেশের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নয়ন হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।
কৃষি, বিমা, ব্যাঙ্ক, কয়লা, রেল, বিমান ক্ষেত্রের পর এবার বেসরকারিকরণের নয়া টার্গেট স্বাস্থ্য। দেশের আপামর গরিব মানুষের সুলভ চিকিৎসার একমাত্র ক্ষেত্রেও এবার পড়তে চলেছে বেসরকারিকরণের থাবা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য পিপিপি মডেলের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন জরুরি পরিষেবার উন্নয়ন চায় সরকার। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক ক্ষেত্রের বেসরকারি ল্যাব, গবেষণাগার অনেক সাহায্য করেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতিতে ২৫০০ ল্যাব কাজ করেছে। সেকারণেই সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে পিপিপি মডেলে এগোতে চাইছে মোদী সরকার।
পিপিপি মডেল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আনলে সংকট বাড়বে গরিব মানুষের। যে গরিব মানুষের কথা ভেবে মোদী সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর জন্য তৎপর হয়েছে সেই গরিব মানুষই এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়বেন। কারণ পিপিপি মডেল শুরু হলে সরকারি হাসপাতালে অনেক ক্ষেত্রেই খরচ বাড়বে। তাতে অবশ্য খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই মোদী সরকারের আপাতত আত্ম নির্ভর ভারত আর তাতে আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য ক্ষেত্র গড়ে তুললে পিপিপি মডেলেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।