দিল্লী সীমান্তে গত প্রায় ৩ মাস ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আজ অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন আরজেডি সুপ্রিমো তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। আজ বাসভবন থেকে নিজেই ট্রাক্টর চালিয়ে বিধানসভায় আসেন তেজস্বী। কৃষকদের চরম দুর্দশার জন্য কেন্দ্রের মোদী ও বিহারের নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কেন দিনের পর দিন জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে।
তেজস্বীর ট্রাক্টর যাত্রার কারণে এদিন পাটনাজুড়ে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করেছিল পুলিশ। তবে, বিধানসভার গেটে প্রবেশের মুখে আরজেডি বিধায়কের ট্রাক্টর আটকায় পুলিশ। এই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তেজস্বীকে চড়া সুরে কথা বলতে শোনা যায়। কোন নিয়মের দরুন তাঁর ট্রাক্টর বিধানসভার মূল ফটক দিয়ে প্রবশ করতে পারবে না তা জানতে চান তিনি। সেই সময় রীতিমত কাকতি-মিনতি করে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, এত বড় ট্রাক্টর নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করলে অন্য বিধায়কদের গাড়ি রাখায় অসুবিধা হতে পারে। এর পরে পায়ে হেঁটেই বিধানসভার অন্দরে প্রবেশ করেন তেজস্বী। সেই সময় সিপিআই (এম-এল) বিধায়ক, কৃষকদের করুণ পরিণতির কথা জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল ও নূন্যতম সহায়ক মূল্যে আইনের দাবিতে গত বছর থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। গত বছরই কৃষকদের দাবিকে সমর্থন করে পাটনায় ট্রাক্টর ব়্যালি করেছিল আরজেডি। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। যতদিন না পর্যন্ত সরকার কৃষকদের দাবিকে সহানুভূতির সঙ্গে সমাধান করবে ততদিন এই ধরণের আন্দোলন চলবে বলে জানান তেজস্বী। এদিন তেজস্বী যাদব বলেছেন, “পেট্রোল-ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দাম। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই ইস্যুতে তাঁর মন্তব্যের দাবি জানাচ্ছি এবং বিহারের কৃষি উৎপাদন মার্কেট বিলোপ করায় কৃষকদের কী এমন সুবিধা হয়েছে তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহির দাবি করছি।”