কেন্দ্রকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারই করতে হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কাকলি বলেন, ‘বিজেপি সরকারের কাছে আলোচনা চেয়ে আশা করাটাই বৃথা। বিরোধী সাংসদদের এড়িয়ে গায়ের জোরে এরা একের পর এক অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়ে নেয়। এটা এদের বদঅভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘সংসদীয় রীতিনিতিকে উপেক্ষা করে অর্ডিন্যান্স পাশ করা অগণতান্ত্রিক। কিন্তু সেটাই করা হচ্ছে।’
এরপরেই মোদী সরকারকে কৃষক ও জনবিরোধী বলে তোপ দেগে কাকলির মন্তব্য, ‘নয়া কৃষি আইনের সঙ্গে নীল চাষের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এখন গায়ের জোরে, কৃষককে বাধ্য করা হচ্ছে বৃহৎ পুঁজির সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলতে হবে। পুঁজিপতির স্বার্থে কাজ করছে এই সরকার। নাহলে বিল আসার আগেই কীভাবে কয়েকজন পুঁজিপতিদের বড় বড় গুদামঘর তৈরি হয়ে গেল?’ প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের।
তিনি যোগ করেন, এই আইন বল প্রয়োগে রাজ্য সরকারের মনিটরিং এড়িয়ে কৃষকের কাছে ফসল কিনতে পারবেন পুঁজিপতিরা। কিন্তু অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টিতে ফসল খারাপ হলে তা কিনতে তাঁরা বাধ্য থাকবে না। তখন তো অসুবিধায় পড়বেন কৃষকরা! আইনে তখন প্রয়োজনে কৃষকদের আদালতে যেতে বলা হচ্ছে! কিন্তু দেগঙ্গার কৃষক গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়তে পারবে? উদাহরণ দিয়ে প্রশ্ন কাকলির। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র চাষী। এঁদের বেশিরভাগেরই তিন একরের কম জমি আছে। এই সম্বল করে তাঁরা বৃহৎ পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে লড়তে পারবেন না।’
এরপরই তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, ‘যাঁরা কেন্দ্রে আছেন, গায়ের জোরে এইসব আইন পাশ করাচ্ছেন, তাঁরা আসলে অনভিজ্ঞ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভারতবাসীর কাছে নয়, কতিপয় পুঁজিপতির কাছে তাঁরা দায়বদ্ধ। তাঁরাই হয়ত এই আইন তৈরি করে দিয়েছেন।’