প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্বয়ং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি অবশ্য আসছেন না। কিন্তু এবার কাশ্মীর ইস্যুতেই ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল বরিস জনসনের সরকার। দীর্ঘদিনের নীতি মেনে কাশ্মীর নিয়ে লন্ডন নাক গলাবে না বললেও বর্তমানে উপত্যকার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করলেন ব্রিটেনের মন্ত্রী।
‘কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের বিতর্ক চলাকালীন একটি প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারকে কাশ্মীরে জমায়েত এবং যোগাযোগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি জানান এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস। জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েই মূলত বিতর্কসভায় আলোচনা করেন কনজারভেটিভ, লেবার পার্টির সাংসদরা। অ্যাডামস জানান, ২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। তবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চায় না লন্ডন। বলেন, ‘এই সরকারের কাছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি এটা জোর দিয়ে জানাতে চাই যে সরকারের নীতি অপরিবর্তিত। আমাদের মতে, পরিস্থিতির স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে ভারত এবং পাকিস্তানকেই। যা কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছা মোতাবেক হবে।’
তিনি আরও জানান, ব্রিটেনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় জম্মু ও কাশ্মীর। তা নিয়ে খোলাখুলি ভারত এবং পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সঙ্গে বলেন, ‘(জম্মু ও কাশ্মীরে) আটক এবং বিধিনিষেধ নিয়ে আমরা বারবার ভারত সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। গত মাসে বিদেশ সচিবের (ডমিনিক রাব) ভারত সফরের সময়ও (নয়াদিল্লির) প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।’