অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো এত বড় পদে থেকেও ভুল তথ্য দিলে আমরা তার প্রতিবাদ করব। শাহর বাংলা সফরের পরেই এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। এবার প্রশাসনিক ভাবেও শাহর ‘মিথ্যাচারিতা’র পাল্টা দিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘মিথ্যাচার’ হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
সম্প্রতি বাংলায় এসে শাহ দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। কৃষি-শিল্প সব ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি কমেছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরে অমিতবাবু জানালেন, কেন্দ্রই বলছে, দেশের তুলনায় রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি বেশি। শুধু তাই নয়, শিল্প, পরিষেবা এবং কৃষি সব ক্ষেত্রেই মোট যুক্তমূল্যের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের তুলনায় বেশি।
অর্থমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান টুইটারে তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে গোটা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যেখানে ৪.১৮ শতাংশ, সেখানে বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২৬ শতাংশ। জাতীয় স্তরে শিল্প ক্ষেত্রের বৃদ্ধি যেখানে ০.৯২ শতাংশ, বাংলায় তা ৫.৭৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। দেশে পরিষেবা ক্ষেত্রে বৃদ্ধি যেখানে ৫.৫৫ শতাংশ, বাংলায় ৯.২৬ শতাংশ হারে পরিষেবা ক্ষেত্র বেড়েছে।
পাশাপাশি, জাতীয় স্তরে কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৪.০৫ শতাংশ, আর বাংলায় কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৪.৭৪ শতাংশ। বিভিন্ন ক্ষেত্রের যুক্তমূল্যের বৃদ্ধি জাতীয় স্তরে ৩.৮৯ শতাংশ, আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলায় ৭.৩৯ শতাংশ। টুইটে অমিত মিত্র লিখছেন, ‘কেন্দ্রের তথ্যেই প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিথ্যে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই বাংলার বৃদ্ধি তরান্বিত হয়েছে। সুতরাং, ক্ষমা চান বাংলার মানুষের কাছে।’