যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি তথা মোদী সরকারকে চেপে ধরেছে তারা, তখনই তাদের দিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে কেন্দ্র— মোদী জমানায় বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এই অভিযোগ যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, আগেও মিলেছে তার প্রমাণ। এবার যেমন পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতির মামলায় শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীকে তলব করল ইডি। রবিবার তদন্তকারী সংস্থার তরফে মহারাষ্ট্রের শাসকদল শিব সেনার রাজ্যসভা সাংসদের স্ত্রী বর্ষা রাউতকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। এই নোটিসের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। সঞ্জয় বারবার কেন্দ্রকে তোপ দাগার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে কিছু টাকা বর্ষা রাউতের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক বলে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত করা হচ্ছে। গত ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শিব সেনা সাংসদের স্ত্রীকে হাজিরা দিতে বলা হলে তিনি আসেননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দু’বার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই আগামী ২৯ তারিখ ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মহারাষ্ট্রে শিব সেনা ও বিজেপির জোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকে মোদী ব্রিগেডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে সঞ্জয় রাউতকে। লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা চাওয়া থেকে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে লড়াই— সবকিছুতেই শিব সেনার মুখ হিসেবে সামনে দেখা গিয়েছে তুখোড় বক্তা এই রাজ্যসভা সাংসদকে। দলীয় মুখপত্র সামনাতেও তাঁর নির্দেশে সবসময় ধরে রাখা হয় বিজেপির ক্রটিগুলি বের করার চেষ্টা। সঞ্জয়কে এবার সেসবেরই ‘খেসারত’ দিতে হচ্ছে বলে তাঁদের ধারণা।