ফের গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীর। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধের জেরে নিহত হল পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা জইশ-ই-মহম্মদের একজন কমান্ডার-সহ ২ জঙ্গী। উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় ঘটেছে ঘটনাটি।
বিশেষ সূত্রে এদিন খবর মেলে যে, বারামুলার ওয়ানিগাম পেইন গ্রামে কয়েকজন জঙ্গী লুকিয়ে রয়েছে। আভাস পেয়েই গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেন ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কর্মীরা। বিকেলের দিকে তাঁরা যখন প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন তখন আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গীরা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর ঘটনাস্থল থেকে দুই জঙ্গীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হওয়া জঙ্গীদের মধ্যে একজন হল পাকিস্তানের বাসিন্দা আবরার ওরফে লাঙ্গু। সে বারামুলা এলাকায় কুখ্যাত জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের একজন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিল। আর তার সঙ্গে নিহত হয়েছে কাশ্মীরের সোপোরের বাসিন্দা আমির সিরাজ। নিখোঁজ হওয়া আমির একজন ফুটবলার ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে মৃতদের পরিচয়ের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশদে কিছু জানানো হয়নি। তদন্ত চলছে এখনও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছরে নিরাপত্তারক্ষীরা ভূস্বর্গে ৩১ জন পাকিস্তানি-সহ ২০০ জনের বেশি জঙ্গীকে নিকেশ করেছেন। এর জন্য ৯০টিরও বেশি অভিযান চালাতে হয়েছে তাঁদের। ২০১৯ সালে খতম হওয়া জঙ্গিদের সংখ্যাটা ১৫৭ থাকলেও ২০১৮ সালে এই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫৭ জনকে এনকাউন্টারে শেষ করা হয়েছিল, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মিলেছে তথ্য।