করোনা পর্বের একেবারে শুরু থেকেই দেশের নিম্নগামী অর্থনীতি ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা নিয়ে মোদী সরকারকে বারবার নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার ফের সরকারের সমালোচনা করলেন তিনি।
‘প্রথমে তারা তুঘলকি কায়দায় লকডাউন করল। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক দুর্দশায় পড়লেন। মনরেগা প্রকল্পে যে আয় করেছিল, তাও তারা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারল না। মোদী সরকার মুখে বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু গরিবদের জন্য কিছুই কাজ করেনি।’ ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
গত বুধবার মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করে রাহুল বলেছিলেন, মানুষ প্রতিদিন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘ব্যাঙ্কগুলি সমস্যায় পড়েছে। জিডিপি সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়। আগে কখনও মূল্যবৃদ্ধি এত বেশি হয়নি। মানুষ হতাশ হয়ে পড়ছেন। একে কি উন্নয়ন বলে?’
সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ও কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনে খারাপ ফল হয়েছে কংগ্রেসের। ভোটের আগে আসন বাছাই ও সাংগঠনিক দুর্বলতা, এই দু’টি বিষয় নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। একটি সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেন, বিহারে কংগ্রেসের আরও বেশি আসনে লড়াই করা উচিত ছিল।
তাঁর মতে, বিহারের ভোট প্রমাণ করেছে, সিপিআই এম এল বা এআইএমআইএমের মতো ছোট দলও তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তাই তারা ভোটে ভাল ফল করেছে। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি জোট যতগুলি আসন পেয়েছে, বিরোধীরাও ততগুলিই পেতে পারত। কিন্তু সেজন্য তাদের তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে হত।’
বিহারের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসকে মাত্র ২৫ টি আসন দেওয়া হয়েছিল। ওই আসনগুলিতে বিজেপি এবং তার শরিকরা গত ২০ বছর ধরে জিতে আসছে। কংগ্রেসের উচিত ছিল ওই আসনগুলি থেকে লড়তে অস্বীকার করা। আমাদের অন্তত ৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত ছিল।’