বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। বাংলার মানুষ ওদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেবে। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলই সরকার গড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’ বৃহস্পতিবার ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি এই মন্তব্য করেন।
ত্বহা সিদ্দিকি এদিন বলেন, ‘বিজেপি হিন্দু–মুসলিমের মধ্যে প্রাচীর তোলার চেষ্টা করছে। এই প্রাচীর এখানকার মানুষ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে। বাংলার পরিবেশ আলাদা। ওরা নির্বাচনের সময়ে প্রচুর টাকা খরচ করবে। তবে টাকা খরচ করেও বাংলা দখল করতে পারবে না।’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সম্পর্কে ত্বহা বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের মতো আচরণ করছেন। নিজের কাজ না করে সরকারের সমালোচনা করছেন। রোজ সকালে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টুইট করছেন। কী হবে এসব করে? তিনি ভাবছেন ২০২১–এর নির্বাচনে বিজেপি জিতবে। এতে ওঁর উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারলাম না। ওঁর তো বয়স হয়েছে। আরও কিছু পাওয়ার জন্য কি এসব করছেন? সব ধর্মের লোকেরা বাংলায় শান্তিতে বসবাস করছে। সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশেই আছে।
ত্বহা বলেন, ‘কংগ্রেস–সিপিএম কোমায় চলে গেছে। অধীর চৌধুরি ও আবদুল মান্নান আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। ভাঙড়ে আগে থেকে আমার কর্মসূচি ঠিক ছিল। আমি ওঁদের এড়িয়ে যাইনি, জানিয়ে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও ওঁরা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেছেন। শুনলাম, আব্বাস বলেছেন নতুন দল করবেন। কিছুই করতে পারবেন না। উনি একটা পুতুল। চাবি দিলেই ঘুরবে। বাংলায় রাজনীতি করা এত সোজা নয়। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, নজরুলের মাটি এটা। এই পবিত্র জায়গায় বিজেপি যে রাজনীতি শুরু করেছে, তাতে ওরা আগামী নির্বাচনে ব্যর্থ হবে। বাংলায় হিন্দু–মুসলিম একসঙ্গে থাকে। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি। বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিজেপি সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলা তো এদের কাছে অপরিচিত। মনীষীদের নামই জানে না। আইনশৃঙ্খলা অন্য রাজ্যের তুলনায় যথেষ্ট ভাল। এখানে অশান্তি করতে চাইছে ওরা।’