অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে দু’ একদিন তা বেড়ে ৫০ হাজার পেরোলেও বেশিরভাগ দিনই গ্রাফ নামতে থাকে। সোমবার তা একলাফে কমে হল সাড়ে ৩০ হাজার। সঙ্গে সংক্রমণের হারও আজ কমে হয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৩ হাজারেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৮৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ১২৭ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৩.৫৫ শতাংশ।
ভারতে কোভিড পরিসংখ্যানের শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৪৭,২৪২ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৫,৯৭৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৬,১৫,৩৭৯ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ কেস ৮৫,৮৮৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬১,৬৪৭। মৃত্যু হয়েছে ১১,৫২৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮,২২,৯৫৩ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৭,১৬৫। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৫৪,০১১ জন। সংক্রমণে মৃত ৬৮৬৮ জন। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮,২৮,৪৮৪ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৮,৬৫৯।
তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৫৮,১৯১। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১১,৪৭৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৩০,২৭২ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেস ১৬,৪৪১। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১১,৩০৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৭২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৮০,৯৬৫ জন। উত্তরপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ২২,৯৬৭। দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮৫,৪০৫। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৬১৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৩৭,৮০১ জন। রাজধানী শহরে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৯,৯৯০। সবিমিলিয়ে করোনা এখনও অবধি দেশে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৪৩৫ জন।
অন্যদিকে, ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৭৯ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫১ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৮। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৮ জন।