করোনা আবহের মধ্যে রাজ্যে দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, পুজো মিটতেই বাংলাজুড়ে ব্যাপক হারে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। কেরালার ওনাম-পরবর্তী ফলাফলের কথাও উদাহরণ হিসাবে টেনে এনেছিলেন কেউ কেউ। আর সেই সূত্রেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন বলে চিহ্নিত করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ এবার বাঙালির সাধের দুর্গাপুজো মিটল দর্শকহীন মণ্ডপে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ যে কতটা প্রাসঙ্গিক ছিল, সেটাই বোঝা যাচ্ছে পুজোর পরই।
পুজোর আগে থেকেই বাংলায় ক্রমেই থাবা চওড়া হচ্ছিল করোনার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলে দিয়েছিলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গোষ্ঠী সংক্রমণও হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। আর পুজোর মুখে, এমনকী পুজোর দিনগুলিতেও বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাচ্ছিল চার হাজার। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছিল দ্রুত গতিতে। কিন্তু পুজোতে বাঙালি বেশ কিছুটা সাবধানী হয়ে চলায় নতুন সংক্রমণ যেমন কমছে, তেমনি বাড়ছে সুস্থতার হারও। যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই মানছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ, ১ নভেম্বরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় তুলনামূলকভাবে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নতুন করে বাংলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৯ জনের। কিন্তু রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। যে সুস্থতার হারও ধীরে ধীরে কমছিল, তা গত কয়েকদিনে আবার বাড়তে শুরু করেছে বাংলায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত বাংলায় অ্যাক্টিভ বা বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩৬ হাজার ৭৬১ জন। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার বর্তমানে ৮৮.৪৪ শতাংশ।