২০১৪ সালে প্রথম দফায় মোদী সরকারের ক্ষমতা দখলের নেপথ্যে ছিল দেশের বিভিন্ন অংশের একাধিক আঞ্চলিক দল। এরমধ্যে এমন কিছু শরিকদল বিজেপির হাতে হাত রেখেছিল, যারা কার্যত বিজেপির বহুদিনের সঙ্গী। তবে ২০১৯ এর পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টেছে। তবে তারপর সময় যত এগিয়েছে, ততই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা থেকে কেরালা কংগ্রেস (থমাস) -এর মতো শরিক দলগুলি বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
বিহার নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জোট রাজনীতির অঙ্কে বহু জায়গায় পিছিয়ে বিজেপি জোট। কৃষক বিল ইস্যুতে সদ্য পুরনো সঙ্গী শিরোমনি অকালি দল ছেড়েছে এনডিএর সঙ্গ। এরপর বিহারে পাসওয়ান শিবিরের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এলজেপিও ছেড়েছে শাসক জোট। গোবলয়ের উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি। এছাড়া গোবলয়ের রাজনীতিতে ওম প্রকাশ রাজভরের পার্টি এবিএসপির সঙ্গেই পুরনো খাতে সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেনি পদ্মশিবির।
আবার তামিলনাড়ুতে এআইডিএমকের সঙ্গে স্থানীয় স্তরে বিজেপির সম্পর্ক তলানিতে কার্যত। এদিকে, ২০১৮ সালেই টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু হাত ছেড়েছেন বিজেপি জোটের। মহারাষ্ট্রে বাল ঠাকরের দল শিবসেনা বিজেপির জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। যা রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছে বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতিতে। কেরালা থমাসের নেতৃত্বাধীন কেরালা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ইদানিং খুব একটা ভাল নয় বিজেপির। ঝাড়খণ্ডের এজেএসইউ পদ্মশিবিরের দাপট মেনে নিতে পারছে না।
সবমিলিয়ে অবস্থা এমনই যে বর্তমানে এনডিএ মন্ত্রিসভায় রামদাস আটাওয়ালে বাদে একজনও আঞ্চলিক দলের মন্ত্রী নেই মোদী সরকারে। বিশেষত অকালিদলের হরসিমরত কৌরের ইস্তফা ও রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। ফলে এনডিএ-র অন্দরে শরিকদলের ক্ষোভ বাড়ছে। আর তার ফলে বেজায় বিপাকে পড়েছেন গেরুয়া শিবির।