গত ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় নাইটদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ছ’টি ম্যাচ খেলে কেকেআর জিতেছে চারটিতে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে ছয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ঝুলিতেও উঠেছে সমান পয়েন্ট। তবে নেট রান রেটের হিসেবে এক ধাপ পিছিয়ে রয়েছেন কোহলিরা। এই পরিস্থিতিতে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে সোমবার মুখোমুখি হবে কলকাতা ও বেঙ্গালুরু। দুই দলের সামনেই রয়েছে জয়ের হ্যাটট্রিকের হাতছানি। তাই এই ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে যথেষ্ট উন্মাদনা।
নাইটদের এটা মনে রাখা দরকার, পাঞ্জাব কিংবা চেন্নাইয়ের তুলনায় বেঙ্গালুরুর বোলিং আক্রমণ অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই নতুন বলে নবদীপ সাইনি, ক্রিস মরিস কিংবা ইসুরু উদানাকে একটু দেখে খেলা উচিত কেকেআরের প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যানদের। এমনিতে শারজার মাঠ ছোট। শুরুটা ভালো করতে পারলে স্কোরবোর্ডে বড় রান গড়ে তোলা কঠিন হবে না। আরসিবি’র তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দরের যুগলবন্দি বেশ ভালোই জমছে। তাই কেকেআরের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর বোলারদের লড়াই বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের পথের কাঁটা বিরাট কোহলি। প্রতিযোগিতার শুরুতে তেমন ফর্মে না পাওয়া গেলেও গত ম্যাচে ৯০ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তাই কেকেআর বোলারদের লক্ষ্য থাকা উচিত, শুরুতেই ছোবল মারা। দেবদূত পাদিক্কাল ও বিরাট কোহলিকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেওয়া মানে বিপদ ডেকে আনা। এই দুই ব্যাটসম্যানই মূলত আরসিবি’র ব্যাটিংকে ভরসা জোগাচ্ছেন। তুলনায় অ্যারন ফিনচ কিংবা এবি ডি’ভিলিয়ার্সকে বেশ ম্রিয়মান দেখাচ্ছে।
স্পিনের তুলনায় কলকাতার পেস বোলিং অধিক শক্তিশালী। গত ম্যাচে দলকে নাটকীয়ভাবে জয়ের পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। সেই সঙ্গে প্যাট কামিন্স যদি ছন্দ ফিরে পান, তাহলে আরসিবি’র ব্যাটসম্যানরা যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তরুণ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে শারজায় খেলানোর ঝুঁকি নাও নিতে পারে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে প্রথম একাদশে কুলদীপ যাদবের সুযোগ পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে।