মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে গত কয়েক দিন ধরেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। তেমনই গত এক সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যুও হচ্ছে হাজারের কম। সংক্রমণের হারও ৬-৭ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৬ হাজার ৭৩২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশের মোট আক্রান্ত হলেন ৭১ লক্ষ ২০ হাজার ৫৩৮ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬.৭১ শতাংশ।
মোট আক্রান্তের নিরিখে শুরু থেকেই দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। যদিও দৈনিক সংক্রমণ সেখানে আগের থেকে অনেক কম। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ও কর্ণাটকে ৭ লক্ষ ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা সাড়ে ছ’লক্ষ ছাড়িয়েছে। ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে দিল্লী। রাজধানীতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৯ হাজার। শুরুর ঝটকা সামলে নিলেও ওনামের পর থেকেই কেরালায় দৈনিক আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৮৯ হাজারে পৌঁছেছে। উড়িষ্যায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ও তেলেঙ্গানাতে ২ লক্ষ ১৩ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতে এক লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১৬ জন মারা গিয়েছেন। মোট মৃত ১ লক্ষ ৯ হাজার ১৫০ জন। তার মধ্যে ৪০ হাজার মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু ১০ হাজার পেরিয়েছে। কর্ণাটকে তা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। দিল্লীতে তা সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি। যদিও ভারতে কোভিড রোগীদের সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যানটা আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৬১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৩৫ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭১ হাজার ৫৫৯ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা এখন আট লক্ষ ৬১ হাজার ৮৫৩।