ধর্মা প্রোডাকশনের প্রাক্তন কর্মী ক্ষিতিজ প্রসাদকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর হেফাজতেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শোনা যাচ্ছে ক্ষিতিজের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের অনুরোধে ম্যাজিস্ট্রেট ভি জে ডোংরে-র কাছে রেকর্ড হওয়া বয়ানে প্রসাদ এক গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর এক আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগে বলেন, অন্যান্য বহু আধিকারিকের সামনে সমীরকে বলেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে যদি তিনি লিখিত বয়ান দেন যে করণ জোহর বা সোমেল মিশ্র, রাখি অপূর্বা বা নীরজ অথবা রাহিল নিয়মিত মাদক সেবন করেন। করণ জোহরের পাশাপাশি এঁরা প্রত্যেকেই ধর্মা প্রোডাকশনের উচ্চ পদে কর্মরত।
ক্ষিতিজ আদালতে দাঁড়িয়ে জানান, তিনি ওয়াংখেড়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। ক্ষিতিজকে যখন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন নাকি একটি বয়ানে সই করার জন্যে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। টানা ৫০ ঘন্টার জেরা, অপমান এবং অত্যাচার সহ্য করার পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে এবং আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার তাগিদে সেই বয়ানে সই করেন তিনি। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ক্ষিতিজ প্রসাদই নন, রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিকের হয়েও মামলা লড়ছেন আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে।