একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন বেশি করে ভাঙন শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। এদিন পুরুলিয়ার একটি গ্রামের বিজেপির প্রধান-উপপ্রধান-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট দশ সদস্য সদলবলে ৭০০ পরিবার নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ওই পঞ্চায়েত এখন থেকে চলে এল শাসকদলের দখলে।
তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছাড়াও এদিনের এই যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন আরও দুই কো-অর্ডিনেটর সুসেন চন্দ্র মাঝি এবং মীরা বাউরি। এছাড়াও, স্থানীয় বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো ও জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শংকরনারায়ণ সিংদেও সেখানে উপস্থিত থেকে দলে নতুনদের স্বাগত জানিয়েছেন। এদিন সভাধিপতি বলেন, “শুধু সাধারণ মানুষজন নয়, গেরুয়া শিবিরে থাকা নেতা-কর্মীরাও বুঝে গিয়েছেন বিজেপি দল কেমন। তাই জয়পুরের বিজেপির প্রধান, উপপ্রধান-সহ তাঁদের সদস্যরা সদলবলে তৃণমূলে এলেন। জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতও এখন আমাদের হাতে এল।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দেওয়া দশ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের মধ্যে বিজেপির ছয় ও নির্দলের চার সদস্য রয়েছেন। জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬টি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পায় ন’টা আসন। তৃণমূল দুটি, নির্দল চারটি ও কংগ্রেস একটি। প্রধান হন অপর্ণা বাদ্যকর এবং উপপ্রধান হন মনোহর রাজোয়ার। এই যোগদানের ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল বারো। সেই জায়গায় বিজেপি কমে হল মাত্র তিন। এর পাশাপাশি নির্দলের আর কোন সদস্য থাকল না। টবর এভাবে একের পর এক জায়গায় ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রবল চিন্তায় পদ্মশিবির।