দিল্লী তথা ভারতের সর্বত্র কোভিড রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মেনে নেওয়া উচিত, দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমরা পরিভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনও বলেছে, এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেন, “গোষ্ঠী সংক্রমণ একটা পরিভাষা। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে আসিনি।”
জুনের শুরু থেকেই দিল্লীতে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকে। দিল্লীর আপ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানায়, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা করা হোক। কারণ যাঁরা ওই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে না, কীভাবে আক্রান্ত হলেন।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ পেরিয়েছে। মারাঠা প্রদেশে এযাবৎ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১,২১,২২১ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩০,৮৮৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৯২,৮৩২ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২,৯৭,৫০৬। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। চতুর্থ স্থানে রয়েছে কর্নাটক। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লী।
সারা বিশ্বে এখন করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানে। তার আগে আছে শুধু আমেরিকা। সেপ্টেম্বরের প্রতিদিন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সব কিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের কিন্তু নিজের অবস্থানে এখনও অনড় কেন্দ্র।