ফরিদাবাদে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প গ্রাহকদের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের সময় ক্ষমতার অপব্যবহারের করেছে আদানি গোষ্ঠী। উপভোক্তাদের ওপর অন্যায় শর্ত চাপিয়েছে তারা। এমনই অভিযোগ তুলে গৌতম আদানির সংস্থাকে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা সিসিআই। সিসিআইয়ের এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আদানি গ্যাস লিমিটেড বা এজিএল। বুধবার শীর্ষ আদালত জরিমানার ওপর শর্তসাপেক্ষ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩.২০ কোটি টাকা জমা করতে আদানি গোষ্ঠীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ জানায় আদানি গ্যাস লিমিটেডকে এই টাকা মেটাতে হবে ২০২১-এর মার্চ মাসের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, সিসিআই-এর এক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ মার্চ ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে আদানি গ্যাস লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি নির্দেশ জারি হয়। ২০১৪ সালে ফরিদাবাদে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প গ্রাহকদের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের সময় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে। ফরিদাবাদ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিলো, এলাকায় একচেটিয়া গ্যাস সরবরাহের ভার এজিএল-এর ওপর। তারই সুযোগ নিয়ে উপভোক্তাদের ওপর অন্যায় শর্ত চাপানো হচ্ছিল। এরপরই আদানি গ্যাস লিমিটেডকে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রাইবুনালের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল আদানি গ্যাস লিমিটেড। বুধবার শীর্ষ আদালত জরিমানার ওপর শর্তাধীন স্থগিতাদেশ দেয় এবং চার সপ্তাহের মধ্যে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা জমা করার নির্দেশ দেয় আদানি গোষ্ঠীকে।