গত মাসে বাংলার অন্যতম শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর প্রয়াণে বঙ্গ কংগ্রেসে বড়সড় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। ১ মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও, এখনও কংগ্রেস নেতাদের দাবি, দলে ছোড়দার অভাব কোনওদিন পূরণ হবে না। কিন্তু তাই বলে তো দলের কাজ আর থেমে থাকে না। কংগ্রেসের অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন, দলের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এতদিন লড়াইয়ে অনেকের নামই ভেসে আসছিল।
সূত্রের খবর, সেই তালিকায় ছিলেন অধীর চৌধুরি, আব্দুল মান্নান, শুভঙ্কর সরকারদের মতো নেতারা। কেউ কেউ মনোজ চক্রবর্তী, নেপাল মাহাতোদের নামও ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। শোনা যাচ্ছে, প্রদীপের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ প্রায় পাকা। শুধু সরকারিভাবে ঘোষণার অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর প্রশ্নাতীতভাবেই বঙ্গ কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরি। কিন্তু অধীর এখন দিল্লীতে। সর্বভারতীয় স্তরে বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাই তাঁর পক্ষে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়াটা একপ্রকার অসম্ভব। তাছাড়া রাহুল গান্ধী তাঁকে সর্বভারতীয়স্তরে ব্যবহার করতে চান। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে বাকি রইলেন আব্দুল মান্নান। তিনি আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আর এর আগে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চেয়ে হাইকম্যান্ডকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু কংগ্রেস এখন তৃণমূলের সঙ্গে নয়, বরং বামেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে। আর প্রদীপ ভট্টাচার্য সোমেনের মতোই বামেদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। আসলে বামেদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই সোমেনের পাশে ছিলেন প্রদীপ। তাছাড়া রাজ্যে কংগ্রেসের এই দুর্দশার দিনে তাঁর অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে পারবে দল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রদীপের প্রদেশ সভাপতি হওয়া চূড়ান্ত। ইতিমধ্যেই দিল্লী উড়ে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন তিনি। আসলে দীর্ঘদিন সাংসদ থাকার দরুন দিল্লীতে প্রদীপের বেশ ভাল যোগাযোগ আছে। তাছাড়া, প্রদীপ এর আগে ২০১১ থেকে ১৪ পর্যন্ত প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। একসময় লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। বিধায়ক হয়েছেন। এখন রাজ্যসভার সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞতা এগিয়ে দিচ্ছে তাঁকে।