বিশ্বের প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেট পেলেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘ্নিত সাউদাম্পটনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে এই নজির গড়লেন ইংল্যান্ডের সুইং তারকা। পাকিস্তানের আজহার আলি তাঁর ৬০০তম শিকার। প্রথম স্লিপে জো রুটের কাছে ক্যাচ দিয়ে আউট হন আজহার।
৩৮ বছরের অ্যান্ডারসনকে ক্রিকেট বিশ্ব কুর্নিশ করে অন্যতম সেরা সুইং বোলার হিসেবে। ছ’শো উইকেট পেতেই অনিল কুম্বলের টুইট, ‘‘অভিনন্দন। এখানে পৌঁছনোর জন্য তুমি প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছ। ছ’শো ক্লাবে তোমায় স্বাগত।’’
অ্যান্ডারসনের আগে পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ টেস্ট শিকারের রেকর্ড ছিল গ্লেন ম্যাকগ্রার। দু’বছর আগেই ম্যাকগ্রাকে টপকে গিয়েছিলেন জিমি। তাঁকে নিয়ে প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসারও মুগ্ধ। জিমিকে সচিনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন তিনি। ম্যাকগ্রা বলেছিলেন, ‘‘ব্যাটিংয়ের সচিন তেন্ডুলকরের মতো বোলিংয়ে জিমি উদাহরণ হয়ে থাকবে। ম্যাচ বা রানের সংখ্যায় যেমন কেউ সচিনকে ধরতে পারবে না, তেমনই জেমসও সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে।’’ সঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, ‘‘জিমির স্কিল আমার ছিল না। ও যখন দু’দিকে বল সুইং করায়, শুধু তাকিয়ে দেখতে হয়। তখন ওর চেয়ে ভাল বোলার আর কেউ নেই।’’ কে বলছেন? না, গ্লেন ম্যাকগ্রা! যাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার ধরা হয়।’’
২০০৩-এ টেস্ট অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের। এখনও পর্যন্ত খেলেছেন মোট ১৫৬টি টেস্ট। উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় টেস্টে তিনি চতুর্থ। তাঁর আগে যে তিন জন আছেন, সকলেই স্পিনার। মুথাইয়া মুরলীধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮) এবং অনিল কুম্বলে (৬১৯)। সাউদাম্পটনের এই টেস্ট অ্যান্ডারসন শুরু করেছিলেন ৫৯৩ উইকেটে দাঁড়িয়ে। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের নিদর্শন রেখে প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের আবিদ আলিকে এলবিডব্লিউ করে তিনি ৫৯৯ শিকারে পৌঁছন। তার পরেই শুরু হয় মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। অবশেষে সত্যি হল অপেক্ষা।