অন্যান্য বছরের তুলনায় এই ২০২০ সাল একেবারেই আলাদা। কোভিড আতঙ্কে এইবছর গোটা পৃথিবী সন্ত্রস্ত। বন্ধ সমস্ত মিটিং-জমায়েত। তাই ২১ জুলাই ধর্মতলায় অন্যান্য বারের মতো জমায়েত সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ধর্মতলায় জমায়েত না হলেও এবারের একুশে জুলাইয়ের মেগা ইভেন্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল ভাষণ দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিরোধীদের কাছেও এ বার আরও বেশি কৌতূহল তৈরি করতে চলেছে।
তৃণমূলের লক্ষ্য – হাতের মোবাইল, কোলের ল্যাপটপ, বাড়ির ডেস্কটপ মারফৎ আম জনতাকে ওই দিন বেলা দুটো থেকে তিনটে পর্যন্ত মমতার ভাষণে ডুবিয়ে রাখা। সেটা সফল করতে দলের প্রশিক্ষিত নেট-বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে আমন্ত্রণের বন্যা বইয়ে দিতে চলেছে সভার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই। তৃণমূলের আইটি সেলের তরফে শুক্রবার টুইটারের যে ট্রেন্ড প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কলকাতায় সমস্ত বিষয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ হ্যাশট্যাগই। একুশে কলকাতা এবং জাতীয় ট্রেন্ডিং-এ মমতার ভাষণকেই এক নম্বরে রাখতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের ‘ব্যাক অফিস’।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলনেত্রীর নাম অবলম্বনেই কয়েকশো পেজ আছে ফেসবুকে। তাঁর সমর্থকদের উদ্যোগে খোলা পেজের সংখ্যা গুনে শেষ করা যায় না। লোকসভা কেন্দ্রওয়াড়ি পেজ তো আছেই, পেশাদারিত্বের ছাপ রেখে ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র মতো পেজ খোলার পর থেকে ফেসবুকে দলের সাম্রাজ্যও বেড়েছে বহু গুন। সামাজিক মাধ্যমের আওতায় আরও কিছু উপকরণ থাকলেও ফেসবুকই আম জনতার কাছে সহজ মঞ্চ। তাই সেখানেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসকদল।
উল্লেখ্য, প্রতিবার একুশে জুলাই তৃণমূলের টার্গেট থাকে যত বেশি সম্ভব মানুষকে ধর্মতলায় দলনেত্রীর মঞ্চের চারপাশে এনে হাজির করার। দক্ষিণে ভিড়ের শেষটা লিন্ডসে স্ট্রিট ছাপিয়ে আরও কত দূর গেল তা নিয়েই তুলনা হয় এক বছরের সঙ্গে অন্য বছরের। এ বার দলনেত্রীর অনলাইন ভাষণ শোনার চর্চা হবে ভার্চুয়াল জমায়েতের মাপকাঠিতেই। কত সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউবে ঢুঁ মারছেন, তারই প্রতিফলন পড়বে ‘ভিউ’-তে।