মোহনবাগানের ঐতিহ্য এবং সমর্থকদের আবেগকে সম্মান দেখিয়ে জার্সিং রং সবুজ-মেরুনই ধরে রাখা। পালতোলা নৌকোকে লোগো হিসেবে জার্সিতে জায়গা দেওয়া। তাতেই শেষ নয়। এটিকে-মোহনবাগানের ‘গৃহ’ হিসেবে ময়দানের সবুজ-মেরুন ক্লাবের মাঠকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।
আইএসএল খেলাকালীন এটিকে-র ম্যাচ যুবভারতীতেই হত। ভবিষ্যতে মোহনবাগান মাঠকেই তাঁরা যে ‘বেস’ করতে চাইছেন, তা পরিষ্কার করে দেন গোয়েঙ্কা। বলেন, ‘‘মোহনবাগান ক্লাবের মতো মাঠটাও তো ঐতিহাসিক। কী সব কিংবদন্তি এ মাঠে খেলেছেন! হয়তো বড় কোনও স্টেডিয়ামের মতো অত দর্শক ধরবে না। যুবভারতী আছে, আছে। কিন্তু মোহনবাগান মাঠের নিজস্ব ঐতিহ্য, আবেগকে হারিয়ে যেতে দেব কেন?’’ কিন্তু বললেই কি সহজ হবে সেটা করা? গোয়েঙ্কার জবাব, ‘‘নিশ্চয়ই সহজ হবে না। সময়ও লাগবে। হয়তো পরের মরশুমেই হবে না। কিন্তু এখন থেকে তিন বছর পরে? বা চার বছর পরে? উচ্চাকাঙ্খা রেখে এগোব না কেন?’’
কারও কারও মত, এই মেলবন্ধনের ফলে মোহনবাগান আর মোহনবাগান থাকল না। সোজা কথায়, শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব বিক্রি হয়ে গেল। গোয়েঙ্কা বলছেন, ‘‘মোহনবাগান ক্লাব এবং ভক্তদের ইতিহাস এবং আবেগকে সম্মান করি বলেই সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে জার্সিং রং, লোগোতে মোহনবাগানের উপস্থিতি ধরে রাখা হয়েছে। ক্লাবের মাঠকেও বড় করে তুলে ধরতে চাই।’’