লকডাউনে শোচনীয় অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন অগুনতি মানুষ। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় ১৭০, সোনালি পার্ক এলাকার ঘটনা। এই ঠিকানার একটি তিনতলা আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধা, সঙ্গে দুই ছেলে। লকডাউনে কাজ হারিয়েছিলেন বড় ছেলে। পরে আর সেভাবে কাজের সুযোগ পাননি। দিনদিন অভাব প্রকট হচ্ছিল সংসারে। বকেয়া হয়ে পড়েছিল বাড়িভাড়া। মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাইয়ের চিকিৎসাও দুরূহ হয়ে উঠেছিল। সবমিলিয়ে আর্থিক অনটন আর হতাশা পৌঁছেছিল চরমে। সেকারণেই তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
জানা গিয়েছে, করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় আদালত। ফলে ক্লার্কের কাজটিও করার সুযোগ হারান। দিনেদিনে অভাব প্রকট হতে থাকে সংসারে। তিনজনেই স্থির করেন, জীবন থেকে পালাবেন, আত্মহত্যা করবেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেইমতো শুক্রবার সকালে তিনজনই উইপোকা মারার বিষ খেয়ে ফেলেছিলেন। বৃদ্ধা মা এবং ছোট ছেলে তাতে অচৈতন্য হয়ে পড়লেও, জ্ঞান ছিল বড় ছেলের। তিনি নিজেই এক আত্মীয়কে ফোন করে বলেন, তাঁরা অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
আত্মীয় জানতে চান ব্যাপারটা কী। তাতেই প্রকাশ্যে আসে তাঁদের যৌথ আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা। বড় ছেলে জানান যে তাঁরা সকলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। এরপর ওই আত্মীয়ের মাধ্যমেই খবর পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃদ্ধা ও তাঁর ছোট ছেলের চিকিৎসা চলছে।