সোমবার রাত থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হতেই দিল্লীর রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে। তারপরই জানা যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর। তাঁকে রাজধানীরই অন্য হাসপাতালে সরাতে হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিতে হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্ট। জানা গিয়েছে, তাঁকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কোভিড-১৯ টেস্টের দ্বিতীয় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে দিল্লীর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আগের দিন, প্রথম টেস্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু, উপসর্গ থাকায় দ্বিতীয় বার টেস্ট করা হলে, রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আর রিপোর্ট মেলার পরই তাঁর চিকিত্সা শুরু করে দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, সত্যেন্দ্র জৈনের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে।
দিল্লীতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে সামনে থেকে লড়াই করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভাইরাস মোকাবিলায় আপ সরকারের যা কিছু করণীয়, সামনে থেকে তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকারের মুখপাত্র হয়ে রোজ সকালে তিনিই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, কোভিড নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিতেন। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের পরদিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে একবার পরীক্ষা হয়েছিল। সেই টেস্ট নেগেটিভ আসায়, বুধবার নতুন করে কোভিড টেস্ট করা হয়। তাতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। বুধবার আর এক আপ বিধায়ক অতিশীরও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। অতিশীকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত আমআদমি পার্টির চার বিধায়ক কোভিড সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার অল্প জ্বর আসে অতিশীর। সঙ্গে সর্দি-কাশি থাকায় করোনা টেস্ট করানো হয়েছিল। বুধবার ৩৯ বছর বয়সি এই বিধায়কের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। উপসর্গ খুব সামান্য হওয়ায়, তিনি আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এর আগে দিল্লীর করোল বাগের আপ বিধায়ক বিশেষ রবি এবং পটেলনগরের বিধায়ক রাজকুমার আনন্দের কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্টও পজিটিভ আসে।