কফি উইথ করণ অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যর সঙ্গে। নির্বাসন কাটিয়ে যখন জাতীয় দলে ফিরেছিলেন, তখন ব্যাট হাতে স্বার্থপর হতে চেয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। আর সেটাই তৈরি করেছিল সমস্যা।
রাহুল বলেছেন, ‘২০১৯ সালে ওই ঘটনার পর আমি নির্বাসনে পড়েছিলাম। তার পর অন্য ভাবে ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম। সেটাই আমাকে ধারাবাহিক করেছে।’
কী ভাবে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আগে আমি ধৈর্য রাখতে পারতাম না। স্বার্থপরের মতো খেলতাম। শুধু নিজের কথাই ভাবতাম। যে কারণে ব্যর্থ হচ্ছিলাম। আমি নিজেকে বলেছিলাম, এর পর যখনই ক্রিজে যাব, টিম যা চাইবে আমার কাছ থেকে, সেটাই করার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেছেন, “এখন আমার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য বদলে যাওয়া মানসিকতাই কারণ। ২০১৯ সালের পরের দিক থেকে আমি অন্য রকম ভাবে চিন্তা করতে শুরু করি। যা ঘটেছিল তাতে নির্বাসনের পর আমি স্বার্থপরের মতো ব্যাট করতাম, নিজের জন্য খেলতাম। এটাতে যখন ব্যর্থ হলাম তখন নিজের দিকে আর আমার স্কোরগুলোর দিকে লক্ষ্য দিলাম। নিজেকে বললাম যে, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দল যা চাইছে সেটাই করতে হবে।”
ক্রিকেটারদের জীবন কতটা সংক্ষিপ্ত হয়, সেটা বুঝতে পেরেছেন রাহুল। সেই মতো নিজের এনার্জি সঠিক পথে চালিত করেছেন। রাহুল বলেছেন, ‘আমাদের কেরিয়ার লম্বা হয় না। ২০১৯ সালে বুঝতে পেরেছিলাম, খুব ভালো খেললে ১১-১২ বছর খেলার সুযোগ পাব। সেই কারণেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি ওই সময় থেকে।’ সঙ্গে জুড়েছেন, ‘সত্যি বলতে তার পর থেকে চাপটাই কমে গিয়েছে।’