রাজ্যসভার নির্বাচন৷ আর তাকে কেন্দ্র করেই ফের ঘোড়া কেনাবেচার ভয়৷ আগাম সতর্ক হয়ে নিজেদের ২১ বিধায়ককে তাই গুজরাত থেকে রাজস্থানে নিয়ে এসে রিসর্টে রাখল কংগ্রেস৷ তাদের অভিযোগ, দলীয় বিধায়কদের নিজেদের শিবিরে টানার জন্য প্রলোভন দেখাচ্ছে বিজেপি৷
রাজ্যসভা নির্বাচন বা আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে ঘোড়া কেনাবেচার এই রাজনীতি নতুন নয়৷ সাম্প্রতিক কালে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে নিজেদের দল বা সমর্থনকারী বিধায়কদের ধরে রাখতে না পেরে যথেষ্টই মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের৷ এবার রাজ্যসভা নির্বাচনে আর সেই ভুল করতে চায় না তারা৷
আগামী ১৯ জুন রাজ্যসভার চারটি আসনের জন্য নির্বাচন রয়েছে৷ তার আগেই কংগ্রেস শিবিরের হৃদকম্পন বাড়িয়ে ইস্তফা দেন দলের তিন বিধায়ক৷ ফলে ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৫৷ এর পরেই দলে ভাঙন আটকাতে প্রথমে দলীয় বিধায়কদের রাজকোট, আমবাজি এবং আনন্দের তিনটি রিসর্টে নিয়ে গিয়ে রাখেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এরই মধ্যে কংগ্রেস বিধায়কদের যে রিসর্টগুলিতে রাখা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি রিসর্টের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধিভঙ্গ করে কংগ্রেস বিধায়কদের রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়৷ এর পরই ওই রিসর্ট থেকে ২১ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজস্থানের আবু রোডের একটি রিসর্টে এনে তোলা হয়৷ গুজরাতের বনসকথা জেলার সীমান্ত লাগোয়া রাজস্থানের সিরোহি জেলায় রয়েছে ওই রিসর্টটি৷
গুজরাতের কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভদার অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছে গুজরাতের বিজেপি সরকার৷ তাঁর অবশ্য দাবি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতেই এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা৷ বিজেপি অবশ্য ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ গুজরাত থেকে রাজ্যসভার দু’টি আসনের জন্য প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস৷ কিন্তু তিন বিধায়কের ইস্তফার পর দু’টি আসনেই তাদের জয় নিশ্চিত নয়৷