ভিন রাজ্য থেকে ফেরার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। সেই পর্ব শেষ করেই গ্রামের কাজে নিযুক্ত হবেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। তবে তারপর একশো দিনের কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তাঁদের। ভিন রাজ্য থেকে প্রায় কপর্দক শূন্য অবস্থায় বাংলায় ফিরে আসা এই শ্রমিকদের মানবিকতার খাতিরেই এমন সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
গ্রামে যে শ্রমিকরা ফিরেছেন তাঁদের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে গ্রামের বাসিন্দার শংসাপত্র জমা দিতে হবে। তা ঠিকমতো জমা দিলেই মিলবে জব কার্ড। নতুন জব কার্ডেই প্রমাণিত হবে, তিনি পরিযায়ী কিনা। তবে ওই ব্যক্তির করোনা উপসর্গ থাকলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কাজে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বা কোনও উপসর্গ নেই বলেও জানাতে হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অবশ্যই পরিযায়ী শ্রমিকদের মানবিকতার খাতিরে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে এভাবে তো সার্কুলার জারি করা সম্ভব নয়। কিন্তু একদম পঞ্চায়েত স্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনওভাবেই বঞ্চিত না করা হয়। কোনও রং দেখা হবে না। দেখতে হবে যেন বিভেদ না তৈরি হয়। স্পষ্ট নির্দেশ, যতো বেশি সম্ভব, কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। মানুষকে কাজ দিতে হবে।
মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘চাইছি যতটা সম্ভব কাজ দেওয়া যায়। কাউকে ফেরানো হবে না। কাজের সময় সামাজিক দূরত্ব-সহ সবরকম বিধিনিষেধ প্রবলভাবে মানতে হবে। সরকারি আধিকারিকরা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে নজর রাখবেন।’ অনেক ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্র, গুজরাত থেকে এসেও নিয়ম মেনে ঘরবন্দী থাকছেন না। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিধি কার্যকর করতেই হবে, তৃণমূল স্তরে নির্দেশ পঞ্চায়েত দপ্তরের।