করোনার তাণ্ডবে বিশ্বের যে দেশগুলি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ, সেই তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে ব্রিটেনের নাম। রানি এলিজাবেথের দেশে এখন আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৬১১৮৪। আক্রান্ত হয়েছিলেন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও। তবে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় প্রাণ বাঁচলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়েছে বরিস জনসনের। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের এমন সাঙ্ঘাতিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে কখনও চশমা পড়তে হয়নি। কিন্তু এখন চশমা ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে এটা করোনাভাইরাসের পার্শ্বপ্রতিক্রয়া।’ গবেষকরা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, ‘মারণ ভাইরাস থেকে প্রাণে বাঁচলেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আক্রান্তদের।’
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাঁকে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আইসিইউতে রাখার পাশাপাশি ভেন্টিলেশন দিতে হয়েছিল। তবে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় শেষমেশ সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে ইদানিং চশমা পরতে হচ্ছে। আগে কখনই যার প্রয়োজন হয়নি। সুতরাং আমি মনে করছি এটা করোনাভাইরাসের প্রভাব হতে পারে। এটা খুবই বিশ্বাসযোগ্য যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে।’