করোনা মোকাবিলায় এবার এমআরএনএ ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম কাজ শুরু করে আমেরিকার বায়োটেকনোলজি ফার্ম মোডার্না। করোনার স্পাইক প্রোটিনকেই ব্যবহার করে বানানো সেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে আমেরিকায়। মেরিল্যান্ডের এই বায়োটেকনোলজি ফার্ম ভ্যাকসিন তৈরির জন্যই জনপ্রিয়। এর আগে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি-এর ভ্যাকসিন বানিয়েছিল এই সংস্থা।
এবার এআরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করল আমেরিকার আরও একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা নোভাভাক্স। এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারবে বলেই দাবি গবেষকদের।
ভাইরোলজিস্ট ডক্টর গ্রেগরি গ্লেন বলেছেন, মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য একেবারেই তৈরি এই ভ্যাকসিন। বিশ্বজুড়েই এই ভ্যাকসিনের ক্নিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন শহরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বেছে নেওয়া হয়েছে ১৩১ জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে। প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁদের।
এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কোথাও ভাইরাসের জেনেটিক কোডকে কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন ডিজাইন করা হচ্ছে, আবার কোথাও কোভিড সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তির রক্তে তৈরি অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং করে তার থেকে প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা চলছে। মেসেঞ্জার আরএনএ বা বার্তাবহ আরএনএ-র কাজই হল কোষে কোষে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। কোন কোষে প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, কোথায় কী রাসায়নিক বদল হচ্ছে সবকিছুর জিনগত তথ্য বা ‘জেনেটিক কোড’ জোগাড় করে সেটা শরীরের প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছে দেওয়া।