উম্পুনের ঘায়ে ছারখার গোটা বাংলা। এখনও বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি, নেই জলও। এরই মধ্যে নয়া আতঙ্কে সকলে। গুজব ছড়িয়েছে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়। আর গুজব রুখতে আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই।
বিপত্তি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের নামের নতুন তালিকা নিয়ে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা উম্পুনেই শেষ হয়েছে। কিছু দিন আগে মৌসম ভবন ১৬৯টি নামের নতুন তালিকা প্রকাশ করে। যার প্রথম তিনটি নাম নিসর্গ, গতি, নিভার। যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত, ইরানের দেওয়া। বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেই তার নাম হবে নিসর্গ। তবে সেই ঝড় বাংলাতেই আসবে, এরকম নয়। আগামী দিন দশেকের মধ্যে তেমন কোনও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা অন্তত বঙ্গোপসাগরে নেই। জুনের শুরুতে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার হাত ধরে কেরালায় বর্ষা আগমনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। সেটিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তার কোনও ইঙ্গিত নেই আপাতত।
বুধবার উম্পুন চলে যাওয়ার পর চার দিন কেটে গেলেও এখনও গরমের দাপট সে ভাবে বাড়েনি। কলকাতার তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩-৩৪ ডিগ্রির আশপাশে। রবিবার সকাল থেকেই জোরে বাতাস বইছিল। তাতে গুজবে ঘি পড়ে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জোরে বাতাস বয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি অনুকূল। এতে কলকাতায় গরমের অনুভূতি খানিকটা কম থাকতে পারে।