পুজোর আগে ক্রিকেটের ব্যাট-বল কিনবে বলে ভেবেছিল জলপাইগুড়ির ছোট্ট প্রণয়। স্কুলের টিফিনের পয়সা জমাচ্ছিল সে। কিন্তু এই করোনার আবহে তার সেই জমানো টাকা দিতে চাইল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। মালবাজার মহকুমার গজলডোবার ১০ নম্বার কলোনি এলাকার ঘটনা। এদিন গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় কর্মরত পুলিশ আধিকারিক বিপিন সরকারের হাতে জমানো পয়সার ভাঁড় তুলে দেয় প্রণয়।
প্রণয়ের বাবা বিশ্বজিৎ আধিকারী বলেন, “আমার ছেলের বয়স মাত্র ৭ বছর। টিভি দেখতে ভালবাসে। টিভিতে করোনা সংক্রান্ত খবর বেশি দেখে। সেখানে সে দেখে গরিব মানুষদের খাবার দিচ্ছে বহু মানুষ বা সংস্থা। তা দেখে তারও ইচ্ছে হয় সে তার জমানো টাকা দান করবে”।
কিন্তু প্রণয়ের জমানো ভাড়ে প্রায় চারশো টাকার মতো আছে। সেই টাকা সে দান করতে চায়। কিন্তু এত অল্প টাকা দান করা যাবে কিনা, তা জানার জন্য প্রণয়ের বাবা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ৫ টাকাও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করা যায়।‘
ক্লাস কেজি ওয়ানের এই ছোট্ট প্রণয় অধিকারীর এমন ভাবনার জন্য অবাক পুলিশ আধিকারিক বিপিন সরকার। তার বক্তব্য, এই ভাবে সবাই যদি এগিয়ে আসে, তা হলে আমরা করোনা যুদ্ধে জয়লাভ খুব সহজে করতে পারব।
ছেলেকে নিয়ে গাজলডোবা পুলিশ চৌকিতে আসেন প্রণয়ের বাবা। ছেলের হাত দিয়েই পয়সার ভাঁড়টা পুলিশের হাতে দেন। এবং জানান, ‘এই পয়সার ভাঁড় পুলিশকে দিতে পেরে খুব খুশি আমার ছেলে’।