লকডাউনের শুরুর দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। তখন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার নিন্দা করে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও জানিয়ে দিয়েছে, শরীরে কোনওপ্রকার জীবাণুনাশক স্প্রে করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু তার পরেও একই ঘটনা ঘটল লক্ষৌতে। শহরের চারবাগ স্টেশনের বাইরে এক যুবকের উপর ফের জীবাণুনাশক স্প্রে করে দিলেন পুরকর্মীরা। ফের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে নানা মহল। ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। তবে পুলিশ-প্রশাসনের অনুমান, ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে ট্রেন গিয়েছে, তাতেই ফিরেছিলেন ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
মোবাইলে তোলা ছ’সেকেন্ডের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের উপর জীবাণুনাশক স্প্রে করে দিচ্ছেন পুরকর্মীরা। শোনা যাচ্ছে এক মহিলার কাকুতি-মিনতি। কিন্তু সে সবে কর্ণপাত না করে ওই যুবককে জীবাণুনাশকে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। তবে লক্ষৌ পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ঘটনা ইচ্ছাকৃত নয়, অসাবধানতাবশতঃ হয়ে গিয়েছে। গাফিলতির অভিযোগে দুই কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রেনের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে বাসে করেও পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই বাসগুলিতে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ চলছে। এই ঘটনার সময়ও সেটাই চলছিল। জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্বে থাকা লক্ষৌ পুরসভার অফিসার ইন্দ্রমণি ত্রিপাঠী বলেন, ‘বাস জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছিল। হোসপাইপ চালু ছিল। একটি বাস জীবাণুমুক্ত করার পর অন্য বাসের দিকে যাওয়ার সময় মাঝখানে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। এটা অনিচ্ছাকৃত।’