কত স্বাস্থ্য ও আশা কর্মী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সমীক্ষা করছেন এবং উপসর্গ থাকলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তার পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০ হাজার স্বাস্থ্য ও আশাকর্মীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ তাঁরা করে চলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেব দিয়েছেন ৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত এই ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী পাঁচ কোটি ৫৭ লক্ষ পরিবারে পৌঁছেছেন। এর থেকে ৮৭২ জনের গুরুতর শ্বাসকষ্ট ও ৯১ হাজার ৫১৫ জনের শরীরে জ্বরের উপসর্গ মেলে। হাসপাতালে পাঠানো হয় ৩৭৫ জনকে। তার মধ্যে ৬২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, যতবেশি মানুষের বাড়ি পৌঁছে এই কাজ করা যাবে তত বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে সুবিধে হবে।
এপ্রিল মাসে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আশা কর্মীদের কাজে লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে এই তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে হবে। নবান্নকে অভিজিৎবাবুর পরামর্শ ছিল একটা সংগঠিত রিপোর্টিং কাঠামো তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার আশাকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘সন্ধানে’ মোবাইল অ্যাপও তৈরি করেন। তা কতটা কার্যকর হয়েছে তারই পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।