রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা ছাত্রছাত্রীদের একাংশ রাজ্যে এসে পৌঁছল। আসানসোলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি বাসে ছাত্রছাত্রীরা এসেছে। পৌঁছনোর পরই তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়।
পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের ছাত্র-ছাত্রীরা এসে পৌঁছনোর পর পশ্চিম বর্ধমানের ছাত্রছাত্রীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে তাঁদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে প্রশাসন।
বাকি প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরই স্নানের এবং খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর তাঁদের আলাদা আলাদা জেলার বাসে করে পৌঁছে দেওয়া হবে জেলার সদর দপ্তরে। সেখানে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে এবং তারপর তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেবে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পশ্চিম বর্ধমানে পুরো বিষয়টি দেখভাল করেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ এবংমহকুমাশাসক, প্রচুর কর্মকর্তা এবং জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম।
ভিনরাজ্য থেকে পড়ুয়াদের ফেরাতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই বুধবার রাজস্থানের কোটা থেকে আটকে পড়া ২৩৬৮ জন পড়ুয়াকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল ৯৫টি বাস। বৃহস্পতিবার লক্ষৌ পৌঁছয় বাসগুলি। কোটায় বাসে ওঠার আগে পড়ুয়াদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। লক্ষৌতে পৌঁছনোর পরও ফের পরীক্ষা করা হয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটার একাধিক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন বাংলার বহু পড়ুয়াই। তবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর সেখানে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা।