করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে চলছে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন। আর তার জেরেই এখন দূর অস্ত কলকাতার পুরনির্বাচন। যেখানে সব কিছু ঠিক থাকলে এতদিনে কলকাতার বুকে পুরনির্বাচন হয়ে ৭ মে’র আগে পরে করে নতুন পুরবোর্ড গঠিত হয়ে যেতে পারতো, সেখানে করোনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে তা। এমতাবস্থায় ৭ মে’র পরে কীভাবে চলবে কলকাতা পুরনিগম তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। নবান্ন সূত্রে এখন জানা যাচ্ছে কলকাতা পুরনিগমের গঠন ও পরিচালনাগত যেসব আইন রয়েছে সেখানে প্রশাসক বসানোর কথা বলে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ ৩ দফায় ৬ মাস করে মোট দেড় বছর বাড়ানোর সংস্থান দেওয়া আছে। রাজ্য সরকার রাজ্যপালের সম্মতি সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য বোর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইনি বিষয়টি সবার আগে খতিয়ে দেখতে চাইছে যাতে পরবর্তীকালে এই নিয়ে কোনও বড় বিতর্ক না তৈরি হয়। এই কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জন্য আইন দফতর ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্য চাইছে কলকাতা পুরনিগমের বর্তমান যে বোর্ড রয়েছে তার মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তাতে মেয়র পারিষদের পাশাপাশি ১৪৪ জন কাউন্সিলরেরই প্রশাসনিক ক্ষমতার মেয়াদও বাড়বে। সমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলররাও। আর বোর্ডের মেয়াদ না বাড়ানো হলে নানা প্রশাসনিক অসুবিধার পাশাপাশি পুরনিগমের নিত্যদিনের কাজেও অসুবিধা হবে। ধাক্কা খাবে এই করোনা ও লকডাউনের আবহে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে সেখানকার কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে চলা মাইক্রোপ্ল্যানিং টিমের কাজও।