করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘পি এম কেয়ারস ফান্ড’ গঠন করেছে মোদী সরকার। তারপরই এই তহবিল নিয়ে সরব দেশের বিরোধী শিবির। তাদের প্রশ্ন, আগে থেকেই যখন ‘প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল মজুত আছে তখন নতুন করে ‘পি এম কেয়ারস ফান্ড’ খোলার কি দরকার? এই বিতর্কের মাঝেই জানা গেল ‘পি এম কেয়ারস ফান্ড’-এ জমা পড়া বিপুল অঙ্কের টাকার অডিট করতে পারবে না সরকারি সংস্থা ক্যাগ। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ব্যক্তি ও সংস্থার দানের উপর নির্ভরশীল। এই ধরনের কোনও তহবিলের অডিট সরকারি সংস্থা করতে পারে না। উল্লেখ্য গত ২৪ মার্চ সমস্ত ক্যাবিনেট মিনিস্টারকে সঙ্গে নিয়ে এই ত্রাণ তহবিল শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে এই তহবিলে করোনা মোকাবিলার জন্য অর্থ সাহায্যের অনুরোধ করেন। শুক্রবার পিএমকে আর তহবিলের অডিট প্রসঙ্গে ক্যাগ-এর বরিষ্ঠ এক আধিকারিক জানান, ‘যতক্ষণ না আমাদের কাছে নির্দেশ আসছে এই তহবিলের অডিট করার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অডিট করতে পারি না।’ পাশাপাশি সরকারি সূত্রের দাবি, ট্রাস্টি দ্বারা নিযুক্ত কোন স্বাধীন সংস্থা এই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অডিট করতে সক্ষম।
শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, যেখানে ১৯৪৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল রয়েছে সেখানে নতুন করে এই তহবিলের কি প্রয়োজন? দ্বিতীয়ত, দীর্ঘ বছর ধরে অতীতের ওই ত্রাণ তহবিলে বহু কোটি টাকা জমে রয়েছে। প্রয়োজনে সে অর্থ ব্যবহার করতেই পারে সরকার। তা না করে নতুন করে ত্রাণ তহবিল খোলার আদৌ কি কোন প্রয়োজন রয়েছে? পাশাপাশি যেখানে রাজ্যভিত্তিক ত্রাণ তহবিল খোলা রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় তহবিলের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমন সময়ই জানা গেল, করোনা পরিস্থিতি তৈরি করা ‘পি এম কেয়ারস ফান্ড’-এর অডিট করতে পারবে না কোন সরকারি সংস্থা। যার অর্থ, এই তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সেই টাকা ব্যবহৃত হয়েছে , সে তথ্য প্রকাশ্যে নাও আসতে পারে।