লকডাউনের বাজারে সাধারণ মানুষের সহায়তায় রেশন, কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার মিলিতভাবে গঠিত হল তিনটি টাস্কফোর্স। এই টাস্কফোর্স গুলির প্রথমটি শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় পরিদর্শন করবে। দ্বিতীয়টি পরিদর্শন করবে শহরের বিভিন্ন রেশন দোকানে। তৃতীয় টাস্কফোর্সটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সাথে বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রো প্লানিং এর কাজ করবে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় টাস্ক ফোর্স প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেপুটি ম্যানেজার, স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নজরদারি চালাবে। এই রিপোর্ট এর ভিত্তিতে বোরো হেলথ অফিসার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজাররা প্রতিটি ওয়ার্ডের মাইক্রোপ্ল্যানিং ধরে কাজ করবেন। এছাড়াও সাধারণ অসুখেও বাড়ি বাড়ি ওষুধ পৌছে যাবে। করোনা নিয়ে র্যাপিড টেস্টেও সাহায্য করবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কলকাতার কিছু ওয়ার্ড, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগণাকে ইতিমধ্যেই রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে রেড জন থেকে গ্রীনজনে ফেরাতে হবে এই এলাকাগুলিকে। সেইমতো নিরাপত্তার দিক থেকে কোনরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক, রেশন অফিসার ও কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধি নিয়ে তিনটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
শহরের বাজারগুলোতে নজরদারি করার জন্য এর আগেই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, মাস্ক ব্যবহার করা হলেও বাজারে আগত ক্রেতারা যথেষ্ট সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করছেন না। বরং মাছের বাজার গুলিতে একে অপরের গা ঘেষাঘেষি করে এই জিনিস কিনছেন। হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি মার্কেটে মাছবাজারের ভিড় কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে এদিন টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে রিপোর্ট জমা পড়ে। তারপরেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে নবান্নে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মেয়র। একইসঙ্গে ওয়ার্ডভিত্তিক মাইক্রোপ্ল্যানিংয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও ওই বৈঠকে কথা হয়।