লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। দোকান বাজার খোলা থাকলেও বিক্রিবাটা তেমন কিছুই নেই। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত চাষিদের। জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে এত কষ্ট করে চাষ করা ফসল।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিমূল্য বাজার। প্রতিদিন দাম বাড়ছে সবজির। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চলছে কালোবাজারি। ঠিক সেই সময় পুরুলিয়ার ঝালদা মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশের সবজি চাষিদের বেগুন, টমেটো, লঙ্কা, কুমড়ো, শসা পড়ে রয়েছে মাঠে।
স্থানীয় বাজারে বেগুন, টমেটো, লাউ, লঙ্কা ইত্যাদির দাম উঠছে কিলো প্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা। আর এই দামেও যখন নেওয়ার কেউ নেই, তখন মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফসল। প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারে যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে শসা, টমেটো। পাটঝালদা গ্রামের কৃষক প্রবীর কুইরি, কমলা কুইরি, গৌউর কৈবর্ত জানান, সবজির দাম পাচ্ছি না। ২টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেগুন, লাউ, শসা সহ অন্যান্য সবজি। লকডাউনের ফলে যোগাযোগ নেই। পাইকার আসছে না। ফলে মাঠের ফসলে ধরছে পচন।
পুরুলিয়া জেলার ঝালদা মহকুমা এলাকার কৃষকরা ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করেন। প্রতি বছর এই সময়ে উৎকৃষ্ট মানের সবজি উৎপন্ন করেন কৃষকরা। যে সবজি পুরুলিয়া ছাড়াও ঝাড়খণ্ডেও রফতানি হয়। কিন্তু এ বছর বাদ সেজেছে করোনা ভাইরাস। আর এই মারণ ব্যাধির সংক্রমণ আটকাতে দেশ জুড়ে চলা লকডাউনের জেরে সমস্যায় প্রান্তিক চাষিরা। অন্য বছর ঋণ শোধ করে লাভের মুখ দেখলেও এবার কীভাবে ঋণ শোধ করবেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কৃষকরা।