করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর। অথচ আমাদের দেশে এই জীবনদায়ী ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনহুগলি। যেখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রকের (MSME) কারখানা। এখানে কামান-বন্দুকের গোলা,বারুদ তৈরি হয়। এখন এইখানেই তৈরি হবে ভেন্টিলেটর। এই মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে এই কারখানাকেই বদলানো হবে ভেন্টিলেটরে৷
এই মুহূর্তে চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষায় মাথাঢাকা হেডশিট তৈরি হচ্ছে এখানে। মারণাস্ত্র তৈরির কারখানায় মানব কল্যাণের হাতিয়ার তৈরি হওয়াতে কর্মীদের মধ্যেও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। বনহুগলির কেন্দ্রীয় কারখানায় তৈরি হেডশিট ইতিমধ্যে বেশ কদর পেয়েছে চিকিৎসক মহলের কাছে। ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা এই অ্যাক্রেলিক পলিশিটের আবরণে সজ্জিত হয়ে করোনা রোগীদের পরিচর্যা অনেকটা সহজ হবে বলে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ।
সংস্থার চিফ ম্যানেজার দেবদত্ত গুহ সোমবার বলেন, “আমাদের তৈরি হেডশিট সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের দেওয়া হয়েছে। ব্যবহার করে ওঁরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট।” কর্তৃপক্ষের দাবি, রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের যে প্লাস্টিকের ছাঁচ তারা বানাচ্ছে, তা দিয়ে মাসে অন্তত দেড় লক্ষ কিট বানানো সম্ভব। রক্ত পরীক্ষার কিট সহজলভ্য হলে করোনা-যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে।
তবে এসবের চেয়েও বনহুগলির কারখানার গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে উঠতে পারে ভেন্টিলেটরের দৌলতে।
কারণ বহু রোগীকে ভেন্টিলেশন সার্পোট দিতে হচ্ছে। এ দিকে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে রোগীর তুলনায় ভেন্টিলেটর কম। চিকিৎসার খরচও বাড়ে। করোনার প্রকোপ আরও বাড়লে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে।