করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সংস্থাগুলিকে হওয়া থেকে বাঁচাতে বিশেষ আদেশ বা অধ্যাদেশ আনতে চলেছে সরকার। মন্ত্রিসভার পরের বৈঠকেই এই অধ্যাদেশ সম্মতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেউলিয়া আইন, ২০১৬-তে একটি নতুন ধারা যোগ করা হবে। এর ফলে আগামী ছ’মাস দেউলিয়া কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এই সময়সীমা করোনার সংক্রমণের চিত্র কোন দিকে যায়, সেই পরিস্থিতি অনুসারে বাড়ানোও হতে পারে। তবে যেসব সংস্থা এরই মধ্যে দেউলিয়া পরিস্থিতিতে পড়েছে, তারা এই নতুন নিয়মের সুবিধা পাবে না। নিঃসন্দেহে এই নয়া নিয়মের ফলে যে সব সংস্থা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে করোনা অতিমারির সময়ে, তারা কিছুটা স্বস্তি পাবে।
২০১৬-র নিয়মানুসারে ঋণ শোধ দিতে একদিনের বিলম্বও সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সংস্থাগুলি চুক্তিভঙ্গের দায়ে পড়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ঋণদাতারা তাদের বিরুদ্ধে এমন ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতেই পারত। বিশেষ করে ছোট সংস্থা, যারা বেতন, ঋণ, জিএসটি নিয়ে জেরবার হয়ে যাচ্ছে তারা বড় সমস্যার সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে এই নয়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, যদি দেশজুড়ে চলতে থাকা লকডাউনের সময়সীমা ৩০ এপ্রিলের পরেও বাড়ে, তাহলে সরকার দেউলিয়ার ধারাগুলিকে স্থগিত রাখবে ছ’মাসের জন্য। এর ফলে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ঋণদাতা ও প্রোমোটাররা দেউলিয়া সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও তিনটি বিশেষ অধ্যাদেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে নতুন শ্রম আইনের জন্য। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি রেকর্ড পতনের সম্মুখীন। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কয়েকটি বন্ধ ক্ষেত্র আবার খোলার কথা ভাবছে সরকার।