শুরু হয়ে গিয়েছে ফার্স্ট ফ্লাশ মরশুম। এই সময়েই চা গাছে প্রথম কচি পাতা আসে। আর বিশ্ব ব্যাপী এই চায়ের পাতার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে দেশ-বিদেশে খুবই জনপ্রিয় দার্জিলিংয়ের ফার্স্ট ফ্লাশ টি। কিন্তু লকডাউনের জেরে বাগানে এতদিন সমস্ত কাজ বন্ধ থাকায় গাছেই পড়েছিল কচি পাতা। অবশেষে সরকারি নির্দেশ মত লকডাউনের মাঝেই খোলা হল চা বাগানের কাজ৷ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে চা বাগানের পাতা তোলার কাজ। রবিবার ছুটির দিন হলেও লকডাউনের মাঝে রোজগারের আশায় পাতা তোলার কাজ করেন শ্রমিকরা। বাগানের মোট শ্রমিকের ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ফ্যাক্টরিও খোলা হয়েছে। ফলে রোজগার হবে ভেবে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চা শ্রমিকরা৷
প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ চা শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বন্ধ করা হয়েছিল চা বাগানগুলিও। আর এই চা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা। এরপর চা বাগানের মালিকপক্ষ দাবি করেন, চা বাগান বন্ধ হয়ে গেলেও এই সময়ে ফাস্ট ফ্লাসের সময়ে চা পাতা তোলা না হলেও তা ছেঁটে ফেলতে হবে। তাই রাজ্য সরকার ১৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে চা বাগানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছাড় দেয়। এরপর শনিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, ২৫ শতাংশ শ্রমিকদের দিয়ে চা বাগানে স্প্রে, রক্ষণাবেক্ষণ, পাতা তোলার কাজ করা যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে হবে। সেই মতই চলছে চা তোলার কাজ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সরকারের নির্দেশ মেনে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরেই কাজ করছেন শ্রমিকরা।